Bangla Probondho Rochona বাংলা প্রবন্ধ রচনা | Bangla Probondho Rochona

15+ Bengali Report Writting | বাংলা প্রতিবেদন রচনা

Bengali Report Writting

Last Updated on April 4, 2025 by Shiksha Diksha

বাংলা প্রতিবেদন রচনা (Bengali Report Writting)

বাংলা প্রতিবেদন রচনা (Bengali Report Writting): নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের কাছে বাংলা বিষয়ের প্রতিবেদন রচনা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই সমস্ত ক্লাসের বাংলা বিষয়ের পরীক্ষায় প্রতিবেদন রচনা সাধারণত কমন বিষয়। তাই এই প্রতিবেদনে বাংলা বিষয়ের বেশ কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন রচনা দেওয়া হলো। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাংলা বিষয়ের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই প্রতিবেদন রচনা গুলি প্র্যাকটিস করে নিতে পারো। নীচে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাংলা প্রতিবেদন রচনা দেওয়া হলো।

১. তোমার বিদ্যালয়ে আয়োজিত একটি বিজ্ঞান প্রদর্শনী বিষয়ে প্রতিবেদন রচনা করো।


উত্তর:- নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩ মার্চ, ২০২২: জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের উদ্যোগে গত বুধবার একটি বিজ্ঞান প্রদর্শনী হয় জলপাইগুড়ি শহরে। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে অনুষ্ঠিত এই প্রদর্শনীতে ১৬টি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছিল। বিজ্ঞান চেতনা ও গবেষণাকে উৎসাহ দেওয়ার উদ্দেশ্যে আয়োজক সংস্থা প্রদর্শনের উল্লেখযোগ্য মডেলের জন্য কৃতী ছাত্রছাত্রীদের পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার এবং অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ছাত্রকে শংসাপত্র প্রদান করে। এই প্রদর্শনীতে প্রথম হয় জলপাইগুড়ি হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র দীপেশ মাইতি। দীপেশের তৈরি মডেলটির বিষয় ছিল ট্যাংক ওভারফ্লো অ্যালার্ম। প্রদর্শনীতে দ্বিতীয় হয় জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সায়ন্তন বসু এবং তৃতীয় হয় জলপাইগুড়ি গভ. গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ঈষিতা সেন। জেলার এই বিজ্ঞান মঞ্জু প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ছাত্রকে নগদ পাঁচশো টাকা পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের চেয়ারপার্সন ড. সুরেশ মৈত্র বলেন, “স্কুলস্তরে পড়ুয়াদের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা বাড়ানোর জন্য আমরা ইতোপূর্বেও জেলা স্কুলে এ ধরনের বিজ্ঞান প্রদর্শনী আয়োজন করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। এই প্রদর্শনী ছাত্রছাত্রীদের বৈজ্ঞানিক বিষয়ে আরও উৎসাহী করে তুলবে।” জেলা বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই প্রদর্শনীতে প্রথম স্থানাধিকারী দীপেশের মডেলটি জেলাস্তরের প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহণ করবে। দীপেশের এই সাফল্যে স্কুলের শিক্ষক এবং ছাত্ররা খুবই গর্বিত। নেচার ক্লাবের বিজ্ঞান প্রসারের এই প্রয়াসকে ঐকান্তিক সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দফতরও।

২. ‘নির্মল বিদ্যালয়’ উদ্যাপন বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।



উত্তর:- নিজস্ব সংবাদদাতা, পুরুলিয়া, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১: পশ্চিমবঙ্গে আর-পাঁচটি বিদ্যালয়ের মতোই পুরুলিয়া হাইস্কুলেও এ বছর ২৬ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মোট ছয়দিনব্যাপী পালিত হয়েছে নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহ। এই কর্মসূচির প্রথম দিন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি র‍্যালি আয়োজিত হয়। র‍্যালির শেষে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রীঅনন্ত নস্কর তাঁর অভিভাষণে ছাত্রছাত্রীদের কাছে এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য এবং তাৎপর্যটি পরিস্ফুট করেন। প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য থেকে জানা যায়, নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহের প্রধান উদ্দেশ্যই হল পড়ুয়াদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করে তোলা। দ্বিতীয় দিনের বিদ্যালয় ও তার আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কর্মসূচি ছিল। তৃতীয় দিন বিদ্যালয় তথা তৎসংলগ্ন অঞ্চলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গৃহীত ও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। চতুর্থ দিন স্কুলের ছাত্ররা নিকটবর্তী এলাকার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা করে, যার রিপোর্ট ৩১ আগস্ট তুলে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট মহকুমা শাসকের হাতে। কর্মসূচির পঞ্চম এবং ষষ্ঠ দিনে আয়োজন করা হয়েছিল বিভিন্ন রকমের প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচিতে ছাত্রছাত্রীদের পাশে সর্বক্ষণ উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীরা। শেষ দিন প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার এবং শংসাপত্র তুলে দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। সমাপ্তি ভাষণে তিনি সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের সাধুবাদও জানান।

৩. ‘প্লাস্টিক বর্জনের প্রয়োজনীয়তা’ বিষয়ক সংবাদপত্রে প্রকাশযোগ্য একটি প্রতিবেদন রচনা করো।



উত্তর:- নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ১৯ জুলাই, ২০২১: রাস্তার ধারে ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে পলিথিনের প্যাকেট, কোথাও আবার নর্দমায় ভাসছে। বেশ কয়েক বছর ধরে এটাই হল আমাদের প্রাত্যহিক পৃথিবীর ছবি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ২০০৭-এর ৫ জুন থেকে এই রাজ্যে ১৬×১২ ইঞ্চি মাপের চেয়ে ছোটো এবং ৪০ মাইক্রনের চেয়ে পাতলা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাছ-সবজি থেকে শুরু করে মিষ্টি খাবারদাবার এমনকি ওষুধ পর্যন্ত সমস্তই ক্রয়বিক্রয় হচ্ছে এই ফিনফিনে পলিথিনের মোড়কে। ফলে অবিনশ্বর এই পলিথিন ভূমিক্ষয়, বায়ুদূষণ, জলদূষণ, দৃশ্যদূষণ সমস্তই ঘটিয়ে চলেছে যথারীতি। প্লাস্টিক জমে জমে নদীবক্ষ বুজে যাচ্ছে, প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লোকালয়ের নিকাশি ব্যবস্থা। ফলে একটু বৃষ্টিতেই জল জমে সৃষ্টি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। অন্যদিকে পার্বত্য অঞ্চলে নিয়ম করে বেড়ে চলেছে ল্যান্ডস্লাইডের মতো ঘটনা। এসবের একটাই কারণ এই প্লাস্টিকের ব্যাগ। তা ছাড়া পলিথিনের ব্যাগে গরম খাবার পার্সেল করার ফলে তার বিষক্রিয়ায় সরাসরিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের স্বাস্থ্য। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে প্রশাসন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কম প্রয়াস করেনি-লিফলেট বিলি, মাস ক্যাম্পেনিং, রেডিয়ো-টিভি-খবরের কাগজে নিয়ম করে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন, পোস্টার, আইন প্রণয়ন সমস্তই করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ খুব-একটা হয়নি। আসলে জনসচেতনতা এবং সস্তার বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া এই মারণ দ্রব্যটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা একান্তই অসম্ভব। সুতরাং, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য পলিথিনের ব্যবহারকে আরও সুনিয়ন্ত্রিত করতে এবং যথাসম্ভব তার ব্যবহারকে কমিয়ে আনতে সামগ্রিকভাবে জনসমাজকেই প্রয়াসী হতে হবে। অন্যথায় এই শ্যামলী পৃথিবীর বুকে প্রাণের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়বে।

৪. তোমার এলাকায় আয়োজিত একটি রক্তদান-শিবির সম্বন্দ্বে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।



উত্তর:- নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া, ১৬ আগস্ট, ২০২১ঃ প্রতি বছরের মতো এবারও ১৫ আগস্ট স্থানীয় ক্লােেবর পক্ষ থেকে আয়োজিত হয়েছিল রক্তদান-শিবির। সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এদিনের অনুষ্ঠান। পতাকা উত্তোলনের পরে বেলা ১০টা থেকে শুরু হয় রক্তদানের পর্ব এবং চলে প্রায় বিকেল ৩:৩০ পর্যন্ত। এই শিবিরে রক্তদান করেন একশোরও বেশি মানুষ। হাওড়া ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারির বক্তব্য অনুসারে, আগামী উৎসবের মরশুমে যাতে রক্ত সংকট দেখা না দেয় তাই পুজোর কয়েকমাস আগে প্রতি বছর এই রক্তদান-শিবিরের আয়োজন করা হয়। অবশ্য অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর রক্তদাতার সংখ্যা বেড়েছে যা নিঃসন্দেহে আনন্দের বিষয়। আয়োজকরা জানান যে, শিবিরে সংগৃহীত রক্ত স্থানীয় ব্লাডব্যাংকে দিয়ে দেওয়া হবে। হাওড়ার সরকারি ব্লাডব্যাংকের আধিকারিকের মতে প্রতি বছরই গ্রীষ্মকালে রাজ্য জুড়ে যে রক্ত সংকট দেখা দেয় এই রক্তদান-শিবির থেকে প্রাপ্ত রক্তে সেই ঘাটতির খানিকটাই পূরণ করা যাবে। তা ছাড়া দুর্গাপুজোর সময়ও এই রক্ত দিয়ে অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে। হাওড়া ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের এই সুপ্রচেষ্টার জন্য জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক আয়োজক ও রক্তদাতাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং জনগণকে আরও বেশি করে রক্তদানের জন্য এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়ে তাদের এ ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করেছেন।

৫. তোমার এলাকায় আয়োজিত জলের অপচয় রোধ এবং জলসংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতা শিবির প্রসঙ্গে সংবাদপত্রে প্রকাশযোগ্য একটি প্রতিবেদন রচনা করো।



উত্তর:- নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১: প্রতিদিন বাড়ছে ভূগর্ভস্থ জলের অপচয়ের মাত্রা। ফলে সমগ্র বিশ্ব অত্যন্ত দ্রুতগতিতে তীব্র জল সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যে জলের অপর নাম জীবন, যে জল ছাড়া আমাদের পক্ষে এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়, আমাদেরই কারণে সেই ভূগর্ভস্থ জলের ভান্ডার শেষের মুখে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমান হারে জলের অপচয় চলতে থাকলে আগামী পঞ্চাশ বছরের মধ্যে এক ফোঁটাও ব্যবহারযোগ্য মিঠা জল আর অবশিষ্ট থাকবে না। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, নগরায়ণ, চাষের জন্য ব্যবহৃত অপরিমেয় জল, অনিয়ন্ত্রিত ও অসচেতনভাবে জলের ব্যবহারই হল আসন্ন জল সংকটের মূল কারণ। সমাসন্ন এই জল সংকটের মোকাবিলা করার একমাত্র পথ হল জলের অপচয় বন্ধ করা। সেজন্য সর্বাগ্রে জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে হবে। আর তাই জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাব একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছিল গত ৭ থেকে ৯ ডিসেম্বর ২০২১। তিনদিনের এই সচেতনতা শিবিরে অংশগ্রহণ করেছিল শহরের বিভিন্ন স্কুল থেকে নির্বাচিত সর্বমোট ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী। মহকুমা শাসকের শুভেচ্ছাবার্তা দিয়ে শুরু হয় এই তিনদিনের সচেতনতা শিবির। শিবিরে আগত বিশিষ্ট অধ্যাপকেরা অংশগ্রহণকারীদের জলের গুরুত্ব এবং অপচয় রোধের বিষয়ে বিশেষ শিক্ষাদান করেন। শিবির শেষে অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া হয় শংসাপত্র এবং তাদের মধ্যে যোগ্যতম ৫০ জনকে নিয়ে তৈরি করা হয় ‘ব্লু গ্রুপ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল, যাদের কাজই হবে জনমানসে জলের গুরুত্ব জাগ্রত করা এবং তার অপচয় রোধের জন্য জনসচেতনতা গড়ে তোলা। নেচার ক্লাবের এই প্রয়াস জেলার সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে সাধুবাদ পেয়েছে। ক্লাবের সভাপতি জানিয়েছেন যে, অদূর ভবিষ্যতে জল সচেতনতা তথা সংরক্ষণ নিয়ে একটি জেলাস্তরের কর্মশালা এবং সচেতনতা শিবির করার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।

৬. মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতে গিয়ে জীবন বিপন্ন হওয়া বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।



উত্তর:- নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২০ অক্টোবর, ২০২১৪: মোবাইল কিংবা স্মার্টফোন ছাড়া বর্তমানে আমাদের পক্ষে এক মুহূর্তও চলা অসম্ভব। তবে একবিংশ শতাব্দীতে আমাদের নিকটতম এই বন্ধুটিই আমাদের জীবনে ডেকে আনছে চরমতম বিপদ, মৃত্যুর ভয়াবহ অন্ধকার। কারণ, সেলফি। স্মার্টফোনের এই যুগে সেলফি তোলাটা যেন একটা আসক্তি। আর এই সেলফি তুলতে গিয়েই গত কয়েক বছরে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষেরই মৃত্যু হয়েছে। বর্তমান ভার্চুয়াল সোসাইটিতে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে ওঠার নেশাতে বুঁদ হয়েই মানুষ সমস্ত বিপদ-ঝুঁকিকে উপেক্ষা করে সুন্দর বা কুল সেলফি তুলতে ব্যস্ত। চলন্ত গাড়ির স্টিয়ারিং ছেড়ে কিংবা রেললাইনের উপর চলন্ত রেলগাড়ির সঙ্গে সেলফি তোলায় ক্রমশ বাড়ছে দুর্ঘটনার হার। ক-দিন আগেই শোনা গেল ব্যাঙ্গালুরুর ব্যস্ততম রাস্তায় সেলফি তুলতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে বছর ২২-এর এক যুবক। আবার, মাস কতক আগেই শোনা যায়, তেলেঙ্গানায় সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে সেলফি তোলার প্রবণতা সর্বাধিক। সেলফি তোলার জন্য ভারতে স্মার্টফোনের বিক্রিও হু হু করে বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারের ব্যাপারে কীভাবে আরও সচেতন হওয়া যায় সে বিষয়ে সরকারকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে রাস্তাঘাটে পথচলতি মানুষের জন্য এবং পর্যটন স্থানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের স্মার্টফোন ব্যবহারে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে দেশের সরকার। সরকারের সুচারু পদক্ষেপের পাশাপাশি মানুষের আত্মসচেতনতার প্রসার ঘটলে তবেই সেলফির বিপদ-সংকেত বিদূরিত হতে পারবে।

৭. গ্রামীণ এলাকায় একটি সরকারি হাসপাতালের উদ্বোধন হল-এ প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।



উত্তর:- নিজস্ব সংবাদদাতা, ভাতার, ২২ মার্চ, ২০২২ঃ দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর স্থানীয় মানুষজনের প্রয়োজন পূরণ করতে চালু হল কুসুমপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র। স্থানীয় বাসিন্দা সদানন্দ বিশ্বাস স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য প্রায় দশ বছর আগে জমি দান করলেও স্বাস্থ্যকেন্দ্র বাস্তবায়িত হতে দীর্ঘ সময় কেটে গেল। গতকাল সকাল ১০টায় যথাবিধি নিয়মকানুন পালন ও ফিতে কেটে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দ্বারোদ্‌ঘাটন করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এম – এল এ শ্রীবাস নন্দী ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাধিপতি মনোজ সানা মহাশয়। হাসপাতাল নির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শ্রীমতী কল্পনা বসু জানান, বহু প্রতীক্ষিত এই হাসপাতালে স্থানীয় মানুষ – নানা রকম স্বাস্থ্য পরিসেবা যেমন পাবেন তেমনি প্রসূতি মায়েদের জন্য সবরকম সুব্যবস্থা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে এমারজেন্সি পরিসেবা দানের জন্য চালু করা হয়েছে – অ্যাম্বুলেন্স পরিসেবাও। ২৪ ঘণ্টা দুটি অ্যাম্বুলেন্স স্থানীয়দের পরিসেবা দানে সক্রিয় থাকবে। স্থানীয় বাসিন্দা মহ. এতিন আলি মহাশয় বলেন-“গ্রামের মানুষ অসুস্থ হলে ২৫ কিমি দূরে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হত। একারণে অনেকে মারাও যেতেন। এখন সেইসব দুস্থ মানুষরা সুবিধা পাবেন। এটা খুবই আনন্দের বিষয়।”

৮. জলাভূমি ভরাট ও সবুজ ধ্বংসের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষের প্রতিবাদ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।



উত্তর:- নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ : বর্তমান সময়ে আমরা এতটাই যান্ত্রিক হয়ে পড়েছি যে, সবুজের অভিযান আর আমরা করি না। আমরা এখন শুধুই ইট-কাঠ-পাথরের সাধনা করি। তাই সবুজ হঠিয়ে বানাই বড়ো বড়ো ইমারত। এই প্রবণতাতেই গা ভাসিয়ে নিউটাউন লাগোয়া রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটু একটু করে সবুজ ধ্বংস করে ও জলাভূমি ভরাট করে তৈরি হচ্ছে একের পর এক অবৈধ কনস্ট্রাকশন। তবে একাজ অবৈধ হওয়ায় এর প্রতিবাদে গত বুধবার রাজারহাটের বিডিওকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার স্থানীয় জনগণ। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিক্ষোভকারীদের সাক্ষ্য থেকে জানা যায়, বাজারের নিকটবর্তী সুবিশাল আমবাগানের প্রায় তিরিশ-চল্লিশটি পুরোনো গাছ কেটে ফেলে, বাগান সংলগ্ন গভীর পুকুরটি ভরাট করে শুরু হয়েছে অবৈধ বহুতল নির্মাণ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ এই সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে এলাকার সিন্ডিকেট চক্র, অথচ প্রশাসন সবকিছু দেখেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এ ঘটনার কোনো তথ্যই তাঁদের কাছে নেই। রাজারহাটের বিডিওর বক্তব্য, যে-কোনো ধরনের বেআইনি নির্মাণ বা জলাভূমি ভরাট কিংবা বেআইনিভাবে গাছ কাটার কোনো অভিযোগ ইতোপূর্বে আসেনি, তাই বিষয়টি তাঁর অজ্ঞাত ছিল। এখন যখন অভিযোগ পাওয়া গেল, তখন আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা যথাসম্ভব দ্রুতগতিতেই নেওয়া হবে। পরিবেশবিদ শ্রীঅলোক রায়ের মতে, “এভাবে জলাভূমি ভরাট কিংবা গাছ কেটে বহুতল নির্মাণের ঘটনা এই প্রথম নয়, নিত্যদিনই বিভিন্ন জায়গায় এই ঘটনা ঘটে চলেছে। কিন্তু স্থানীয় লোকেদের সচেতনতার অভাবে এবং প্রশাসনের মুষ্টিমেয় কিছু লোকের গড়িমসিতে তা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।” তবে রাজারহাটবাসী মানুষেরা যে পরিবেশ রক্ষার জন্য এতখানি সচেষ্ট হয়ে উঠেছে, তা দেখে তিনি অভিভূত হন। আসলে জনসচেতনতা এবং গণ-প্রতিবাদ ছাড়া এই ধরনের সমস্যার সার্বিক সমাধান একেবারেই অসম্ভব-এমনটাই অভিমত প্রকাশ করেছেন অলোকবাবু।

৯. এলাকায় সাড়ম্বরে পালিত হল বৃক্ষরোপণ উৎসব।-এই বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা করো।



উত্তর:- নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ৪ আগস্ট, ২০২১: শহরের সৌন্দর্যায়ণ এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবছর অরণ্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করল বারাসত কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করে সৌন্দর্যায়ণ তথা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে পাঁচ হাজার বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি নিয়েছে বারাসতের এই পরিবেশ বান্ধব ক্লাবটি। এলাকার কাউন্সিলার শ্রীপ্রদীপ বসু এবং ক্লাবের সভাপতি শ্রীঅনিমেষ চন্দ্র বসাকের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণচূড়ার চারারোপণের মাধ্যমে এ বছরের বৃক্ষরোপণ উৎসবের সূচনা ঘটে। সকালবেলায় শোভাযাত্রা করে বৃক্ষরোপণ এবং বৃক্ষরক্ষার জন্য ব্যাপক প্রচার চালানো হয়। সভাপতি জানান, এবছর সারা সপ্তাহ জুড়ে এলাকার মানুষদের মধ্যে পাঁচ হাজারেরও বেশি চারাগাছ বিতরণ করা হয়েছে। বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি তার নিয়মিত সংরক্ষণ এবং পরিচর্যার জন্য এলাকার ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের নিয়ে তৈরি হয়েছে সবুজবাহিনি। এলাকার কাউন্সিলার শ্রীপ্রদীপ বসু কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রয়াসের প্রশংসা করে। এলাকার ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের নিয়ে তৈরি সবুজবাহিনির কনসেপ্টটিকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন। পরিবেশপ্রেমী নীতিশ চক্রবর্তী এই প্রচেষ্টার খবরে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। তাঁর মতে-“এই সবুজবাহিনির কনসেপ্টটা খুবই ভালো এবং কার্যকরী, আমরা প্রত্যেকেই যদি নিজেদের সাধ্যমতো পরিবেশ রক্ষার জন্য সচেষ্ট হই, তাহলে আবার আমাদের পৃথিবী সবুজে ভরে উঠবে।”

১০. তোমার এলাকায় পালিত হল অরণ্য সপ্তাহ



উত্তর:- নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ৪ আগস্ট, ২০২০ঃ শহরের সৌন্দর্যায়ন এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবছর অরণ্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করল বারাসাত কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। সম্প্রতি সুপার সাইক্লোন আমফানের তাণ্ডবে ভেঙে পড়েছে অসংখ্য ছোটোবড়ো গাছ। এই কারণে শহরে নতুন বৃক্ষরোপণ করে, গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করে সৌন্দর্যায়ন তথা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে পাঁচ হাজার বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি নিয়েছে বারাসাতের এই পরিবেশ বান্ধব ক্লাব। এলাকার কাউন্সিলার শ্রীপ্রদীপ বসু এবং ক্লাবের সভাপতি শ্রীঅনিমেষ চন্দ্র বসাক কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপণ করে সূচনা করেন এবছরের অরণ্য সপ্তাহের। সকালবেলায় শোভাযাত্রা করে বৃক্ষ রোপণ এবং বৃক্ষরক্ষার জন্য ব্যাপক প্রচার চালানো হয়। সভাপতির সাক্ষ্য থেকে জানা যায়, এবছর সারা সপ্তাহ জুড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি চারাগাছ বিতরণ করা হয়েছে এলাকার মানুষদের। বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি তার নিয়মিত সংরক্ষণ এবং পরিচর্যার জন্য এলাকার ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের নিয়ে তৈরি হয়েছে সবুজবাহিনী। এলাকার কাউন্সিলার শ্রীপ্রদীপ বসুর মতে, বারাসাত কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রয়াস প্রশংসাযোগ্য। এলাকার ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের নিয়ে তৈরি সবুজবাহিনীর কনসেপ্টটিকেও তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন। পরিবেশপ্রেমী নীতিশ চক্রবর্তী এই প্রচেষ্টার খবরে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। তিনি এই সবুজবাহিনীর ছেলেমেয়েদের শুভেচ্ছা এবং বারাসাত কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁর মতে- “এই সবুজবাহিনীর কনসেপ্টটা খুবই ভালো এবং কার্যকরী, আমরা প্রত্যেকেই যদি নিজেদের সাধ্য মতো পরিবেশ রক্ষার জন্য সচেষ্ট হই, তাহলে আবার আমাদের পৃথিবী সবুজে ভরে উঠবে।”

১১. কোনো গ্রামীণ এলাকায় একটি সরকারি হাসপাতাল উদ্বোধন হল



উত্তর:- নিজস্ব সংবাদদাতা, ভাতার, ২২ মার্চ : দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর স্থানীয় মানুষজনের দাবি মতো কুসুমপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু হল।

স্থানীয় বাসিন্দা সদানন্দ বিশ্বাস স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য প্রায় দশ বছর আগে জমি দান করলেও স্বাস্থ্যকেন্দ্র বাস্তবায়িত হতে দীর্ঘ সময় কেটে গেল। গতকাল সকাল ১০টায় বৈদিকমন্ত্র পাঠ ও ফিতে কেটে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দ্বারোদঘাটন করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এম এল এ শ্রীবাস নন্দী ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাধিপতি মনোজ সানা মহাশয়। হাসপাতাল নির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শ্রীমতী কল্পনা বসু বলেন, স্থানীয় মানুষ নানারকম স্বাস্থ্য পরিসেবা যেমন পাবেন তেমনি প্রসূতি মায়েদের জন্য সবরকম সুব্যবস্থা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে একটি অ্যাম্বুলেন্স পরিসেবাও চালু হয়। স্থানীয় বাসিন্দা মহ. এতিন আলি মহাশয় বলেন- “গ্রামের মানুষ অসুস্থ হলে ২৫ কিমি দূরে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হত। এ কারণে অনেকে মারাও যেতেন। এখন সেইসব দুস্থ মানুষরা সুবিধা পাবেন। এটা খুবই আনন্দের বিষয়।”

১২. জলের অপচয় রোধে সচেতনতা শিবির



উত্তর:- নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১: নিত্যদিন বাড়ছে ভূগর্ভস্থ জলের অপচয়। সমগ্র বিশ্ব অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তীব্র জল সংকটের দিকে। যে জলের অপর নাম জীবন, যে জল ছাড়া প্রাণীজগতের পক্ষে এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়, আমাদের অপচয়ের ফলে সেই ভূগর্ভস্থ জলের ভাণ্ডারই শেষের মুখে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমান হারে জলের অপচয় চলতে থাকলে আগামী পঞ্চাশ বছরের মধ্যে এক ফোঁটা ব্যবহারযোগ্য মিঠা জলের জন্যও আমাদের হাপিত্যেশ করতে হবে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, নগরায়ণ, চাষের জন্য ব্যবহৃত অপরিমেয় জল, অনিয়ন্ত্রিত ও অসচেতনভাবে জলের অপচয়ই হল আসন্ন জল সংকটের কারণ। সমাসন্ন এই জল সংকটের মোকাবিলা করার একমাত্র উপায় হল জলের অপচয় বন্ধ করা। জলের এই অপচয় রোধে জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাব একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছিল গত ৭ থেকে ৯ ডিসেম্বর ২০২১। তিনদিনের এই সচেতনতা শিবিরে অংশগ্রহণ করেছিল শহরের বিভিন্ন স্কুল থেকে নির্বাচিত সর্বমোট ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী। মহকুমা শাসকের শুভেচ্ছাবার্তা দিয়ে শুরু হয় এই তিনদিনের সচেতনতা শিবির। শিবিরে বিশিষ্ট অধ্যাপকেরা অংশগ্রহণকারীদের জলের গুরুত্ব এবং অপচয় রোধের বিষয়ে বিস্তৃত রূপে শিক্ষাদান করেন। শিবির শেষে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের শংসাপত্র দেওয়া হয় এবং তাদের মধ্যে যোগ্যতম ৫০ জনকে নিয়ে তৈরি করা হয় ‘ব্লু গ্রুপ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল, যাদের কাজই হবে জনমানসে জলের গুরুত্ব এবং তার অপচয় রোধের জন্য জনসচেতনতা গড়ে তোলা। নেচার ক্লাবের এই প্রয়াস জেলার সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে সাধুবাদ পেয়েছে। ক্লাবের সভাপতি জানিয়েছেন যে, অদূর ভবিষ্যতে জল সচেতনতা তথা সংরক্ষণ নিয়ে একটি জেলাস্তরের কর্মশালা এবং সচেতনতা শিবির করার পরিকল্পনা রয়েছে সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের। –

১৩. জলাভূমি ভরাট ও সবুজ ধ্বংসের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষের প্রতিবাদ অথবা, জলা বুজিয়ে সবুজ ধ্বংস করে আবাসন গড়া



উত্তর:- নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ঃ নিউটাউন লাগোয়া রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটু একটু করে সবুজ ধ্বংস করে ও জলাভূমি ভরাট করে তৈরি হচ্ছে একের পর এক অবৈধ কনস্ট্রাকশন। এর প্রতিবাদে গত বুধবার রাজারহাটের বিডিওকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার স্থানীয় জনগণ। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিক্ষোভকারীদের সাক্ষ্য থেকে জানা যায়, বাজারের নিকটবর্তী সুবিশাল আমবাগানের প্রায় তিরিশ-চল্লিশটি পুরোনো গাছ কেটে এবং বাগান সংলগ্ন গভীর পুকুরটি ভরাট করে শুরু হয়েছে অবৈধ বহুতল নির্মাণ।

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ এই সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে এলাকার সিন্ডিকেট চক্র, অথচ সবকিছু দেখেও হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে প্রশাসন। পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এ ঘটনার কোনো তথ্যই তাঁদের – কাছে নেই। রাজারহাটের বিডিওর বক্তব্য, যে-কোনো ধরনের নির্মাণেই জলাভূমি ভরাট কিংবা বেআইনিভাবে গাছ কাটার – কোনো অভিযোগ ইতোপূর্বে আসেনি, তাই বিষয়টি তাঁর অজ্ঞাত ছিল। এখন যখন অভিযোগ পাওয়া গেল, তখন আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা যথাসম্ভব দ্রুতগতিতেই নেওয়া হবে। পরিবেশবিদ শ্রীঅলোক রায়ের মতে, “এভাবে জলাভূমি এ ভরাট কিংবা গাছ কেটে বহুতল নির্মাণের ঘটনা এই প্রথম নয়, নিত্যদিনই বিভিন্ন জায়গায় এই ঘটনা ঘটে চলেছে। কিন্তু স্থানীয় লোকেদের সচেতনতার অভাবে এবং প্রশাসনের মুষ্টিমেয় এ কিছু লোকের গড়িমসিতে তা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।” তবে রাজারহাটবাসী মানুষেরা যে পরিবেশ রক্ষার জন্য এতখানি সচেষ্ট হয়ে উঠেছে, তা দেখে তিনি অভিভূত। আসলে জনসচেতনতা এবং গণপ্রতিবাদ ছাড়া এই সমস্যার সার্বিক সমাধান একান্ত অসম্ভব-এমনটাই অভিমত অলোকবাবুর।

১৪. ফোনে সেলফি তুলতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনা



উত্তর:- নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২০ জুন, ২০২২ঃ মোবাইল কিংবা স্মার্টফোন ছাড়া বর্তমানে আমাদের পক্ষে এক মুহূর্তও চলা অসম্ভব। একবিংশ শতাব্দীতে আমাদের নিকটতম এই বন্ধুটিই আমাদের জীবনে ডেকে আনছে মৃত্যুর ভয়াবহ অন্ধকার। কারণ, সেলফি। স্মার্টফোনের এই যুগে সেলফি তোলাটা যেন একটা আসক্তি। আর এই সেলফি তুলতে গিয়েই গত কয়েক বছরে বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে মৃত্যুর হার। বর্তমান ভার্চুয়াল সোসাইটিতে সেনসেসোনাল কিংবা রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে ওঠার নেশাতে বুঁদ হয়েই মানুষ সমস্ত বিপদ-ঝুঁকিকে উপেক্ষা করে সুন্দর বা কুল সেলফি তুলতে ব্যস্ত। চলন্ত গাড়ির স্টিয়ারিং ছেড়ে কিংবা রেললাইনের উপর চলন্ত রেলগাড়ির সঙ্গে সেলফি তোলায় ক্রমশ বাড়ছে দুর্ঘটনার হার। ক-দিন আগেই শোনা গেল ব্যাঙ্গালুরুর ব্যস্ততম রাস্তায় সেলফি তুলতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে বছর ২২-এর এক যুবক। আবার মাস কতক আগেই তেলেঙ্গানায় সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। আর সেলফির এই রমরমা ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে ক্রমবর্ধমান। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে সেলফি তোলার প্রবণতা সর্বাধিক। সেলফি তোলার এই প্রবণতা এবং ক্রমবর্ধমান পথ দুর্ঘটনা নিয়ে সকলেই বেশ উদ্বিগ্ন। সেলফি তোলার জন্য ভারতে স্মার্টফোনের বিক্রি হু হু করে বেড়েই চলেছে। অতএব, জনগণকে স্মার্টফোন ব্যবহারে আরও বেশি করে সচেতন করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে দেশের সরকার এবং বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বিশেষ করে রাস্তাঘাটে পথচলতি মানুষের জন্য এবং পর্যটন স্থানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের স্মার্টফোন ব্যবহারে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে দেশের সরকার। সরকারের সুচারু পদক্ষেপের পাশাপাশি মানুষের আত্মসচেতনতার প্রসার ঘটলে তবেই সেলফির বিপদ সংকেত বিদূরিত হতে পারবে।

১৫. বিদ্যালয়ের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান



উত্তর:- নিজস্ব সংবাদদাদা, কলকাতা, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২: গত শুক্রবার মহাসমারোহে পালিত হল বহরমপুর হাইস্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বিদ্যালয়ের প্রেক্ষাগৃহে সন্ধে ৫:৩০ নাগাদ প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের পরিচালক কমিটির সভাপতি শ্রীবিশ্ববন্ধু বসু এবং প্রধান শিক্ষক শ্রীঅজয় কুমার দাশগুপ্ত। প্রধান অতিথি হিসেবে এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুনন্দ সমাদ্দার। প্রদীপ প্রজ্বলনের পরে ছাত্রদের গাওয়া উদ্বোধনী সংগীত দিয়ে শুরু হয় বহরমপুর হাইস্কুলের এবারের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। একে-একে সভাপতির অভিভাষণ, প্রধান অতিথির ভাষণ, প্রধান শিক্ষকের বার্ষিক বিবরণী পাঠ, ছাত্রদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মনোজ মিত্রের ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। বিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্রদের হাতে এ দিন পুরস্কার এবং শংসাপত্র তুলে দেন অনুষ্ঠানের মান্যবর অতিথিগণ। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীবৃন্দ, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক এবং প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকরা সম্মিলিতভাবে একটি গীতি আলেখ্য মঞ্চস্থ করেন। এই সুন্দর ও সুপরিকল্পিত অনুষ্ঠানের শেষে ওই অঞ্চলের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুনন্দ সমাদ্দারকে সংবর্ধিত করা হয়। সভাপতির ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং সমাপ্তি সংগীতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বহরমপুর হাইস্কুলের এবারের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের পরদিন যথারীতি স্কুলের ছুটি ঘোষণা করেন প্রধান শিক্ষক শ্রীঅজয় কুমার দাশগুপ্ত।

আমাদের পোষ্টের লেটেস্ট আপডেট পেতে আমাদের Whatsapp Channel জয়েন করুন এবং Telegram Channel জয়েন করুন।

WhatsApp Channel Follow
Telegram Channel Join Now
Facebook Page Follow

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *